Halloween Costume ideas 2015
Articles by "গণমাধ্যম"


আমাদের সোনারগাঁওঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একঝাঁক কলম সৈনিকের সংগঠন সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 


বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্সের ৪র্থ তলায় ক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ক্লাবের সভাপতি আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।



ক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রানার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাব আঠারো পেরিয়ে উনিশে পা রাখায় আমি ক্লাবের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী সহ সোনারগাঁও বাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ১৯ বছরের সাহসী পথচলায় ক্লাবটিকে সবসময় পাশে পেয়েছি, আমরাও আগামী দিনগুলোতে ক্লাবের পথচলায় পাশে থাকবো।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি একেএম কামরুজ্জামান মিলন, দৈনিক  বাংলাদেশ প্রতিদিনের সোনারগাঁও প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাবুল হোসেন বিজয়, যুবদল নেতা রকিব হাসান, দৈনিক কালবেলার সোনারগাঁ প্রতিনিধি রুবেল খানসহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।



আমাদের সোনারগাঁওঃ মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি। ২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলা মডেল মসজিদের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, উপজেলা বিএনপির-সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর  রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান মেম্বার, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রোমা আক্তার, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসনাইন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মো. মোশারফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি কুচক্রি মহল সংবাদকর্মীদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে সোনারগাঁ বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করাচ্ছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। সোনারগাঁ বিএনপির ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য সংস্কার পন্থী এক নেতা ও তার ভাই আওয়ামীলীগ নেতা শীর্ষ ঋণ খেলাপী মিলেমিশে মাঠে নেমেছে। 

বিগত ১৬ বছর আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের কারণে সোনারগাঁ বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনে জর্জরিত ছিল। অথচ পাঁচ আগষ্টের পর সোনারগাঁয়ে আমরা বিরোধী দলের উপর কোন ধরনের সহিংসতা হতে দেইনি। সোনারগাঁকে আমরা শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা যদি দলের নির্দেশ অমান্য করে কোন ধরনের অপকর্ম করে তাহলে জানাবেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।



আমাদের সোনারগাঁওঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ'র সোনারগাঁ উপজেলা প্রতিনিধি ও সোনারগাঁ থানা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, গাজী মোবারক বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’র (বিএসসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

সম্প্রতি ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাট পদ্মারপাড়ে দু’দিন ব্যাপী সারাদেশের ৬৪ জেলার সাংবাদিকদের এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। মিলনমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের দিন নবগঠিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’র (বিএসসি) কেন্দ্রীয় ৫১ সদস্যের আহবায়ক কমিটির কার্যকরী সদস্য হিসেবে গাজী মোবারককে মনোনীত করেন।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত করায় চার্জ কমিটির প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন তিনি। ওই মিলনমেলায় দলবাজীমুক্ত, লেজুরবৃত্তিহীন, মুক্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং সামাজিক দায়বোধ থেকে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা ও নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ কার্যকর ভূমিকা পালনের শপথ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এই প্রথম মৈনট ঘাট পদ্মারপাড়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের মিলনমেলায় সমস্বরে শপথ বাক্য পাঠ করেন উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ।

শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি শিশু সাহিত্যিক ও অনুকাব্যের জনক প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য সাংবাদিক (দন্তস রওশন খ্যাত) সাইদুজ্জামান রওশন। সেদিন সারাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’ (বিএসসি) নামে একটি বৃহৎ সংগঠন। ওইদিন ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি চার্জ কমিটির মাধ্যমে সংগঠনের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠণ করা হয়।



আমাদের সোনারগাঁওঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দখলের প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ক্রয় সুত্রে ওই সম্পত্তির মালিক "আব্দুল মতিন"। 

সোমবার(২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় নিজ বাসায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন বলেন,  ‘সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করে স্বার্থ হাসিলের জন্য ভূমিদস্যু আশরাফ প্রধান এলাকার কিছু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। আশরাফ প্রধান একজন আওয়ামীলীগ নেতার ভাই, সে সবসময় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আতাত করে চলাফেরা করেছে৷ আর রফিকুল ইসলাম বিডিআর একজন জাতীয় পার্টির নেতা, বিগত দিনে তিনি জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে বিভিন্ন মিটিং মিছিল করেছে এটা সোনারগাঁবাসী জানে।

প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে আমি কারও জমি দখল করিনি; বরং গত ১৬ বছরে আমাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন  সম্পত্তি আওয়ামী লীগের লোকজন দখল করে আসছিলো। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও জমিগুলো পুনর্দখল থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের সহায়তায় সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেই। এখন জমি দখলের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। বিএনপির রাজনীতি করায় একটি মহল আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলের সামনে যে যায়গাটি নিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে তার ছয় শতাংশ ব্যতীত পুরো যায়গাই আমার। আমি এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। আগামী সপ্তাহে মিমাংসা করার কথা রয়েছে।



আমাদের সোনারগাঁওঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমার জীবনে রাজনৈতিকভাবে কখনো কোন সুবিধা ভোগ করিনি, ভোগ করার চেষ্টাও করিনি। সারাজীবন বিএনপির রাজনীতির স্বার্থে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে থেকেছি। নিজের উপার্জনের টাকা ব্যয় করে দল করেছি। ভবিষ্যতেও বিএনপির সাথে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমি ও আমার ছেলে খাইরুল ইসলাম সজিব'ই শুধু নয়, আমার আত্নীয়স্বজনসহ আমরা সবাই বিএনপির রাজনীতি করি।

আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আমি ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় ৬টি মামলা হয়েছে সত্যি কিন্তু ওই মামলার বাদী আমি না, আমার ছেলেও না। সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে ঘটনাস্থল দেখিয়ে এসব মামলা করা হয়। সব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, সাধারণ ব্যবসায়ী ও দিনমজুরসহ নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে আরও প্রায় চার হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলার নেপথ্য কারিগর আমি আজহারুল ইসলাম মান্নান এমনটাই পত্রিকায় লেখা হয়েছে। মান্নান বলেন, এখন কি বিএনপি ক্ষমতায় আছে যে পুলিশ প্রশাসন শুধু আমাদের কথাই শুনবে? এগুলো একেবারেই ভ্রান্তি ও গুজব। সোনারগাঁ থেকেও ৪ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের পরিবার কি মামলা না দিয়ে বসে থাকবে?

নিরপরাধ মানুষদের মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করে তাদের ঘরবাড়ি দখল, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আমি কারো বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছি এমন রাজনীতি আমার ইতিহাসে নেই। এ ছাড়া ইকোনোমিক জোনে যারা আগে ব্যবসা করতেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ঝুটসহ নানা ব্যবসা জোরপূর্বক করে যাচ্ছি আমি ও আমার ছেলে খাইরুল ইসলাম সজীব এগুলো সবই মিথ্যা। উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা মোশারফ, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আতাউর রহমান, নিজামুদ্দিন, বাবুল ও শামীম এরা পরিবহন চাঁদাবাজ এসব কথা মিথ্যে ও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সংস্কার পন্থিরা গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে বলেও জানান তিনি। পত্রিকায় লেখা হয়েছে নীরিহ মানুষের জমি দখল করে নিচ্ছে মান্নানপন্থি বিএনপি নেতা মেনা, বারদী এলাকার আব্দুর রহমানসহ বিশাল বাহিনী। এ ব্যপারে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, কাগজপত্র ছাড়া একজনের জমি কি আরেকজন দখল করতে পারে? এটা একেবারেই হাস্যকর। ক্লিন ইমেজের বিএনপি নেতাকর্মীদের যাদের আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছি এটা কি বিশ্বাস যোগ্য? সোনারগাঁয়ে আমি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও আমার নেতাকর্মীরা ব্যতীত কোন সংস্কার বাদীরা ক্লিন ইমেজের নেতা হতেই পারেনা! তারা বিগত ১৬ বছর কোথায় ছিলো? এখন ক্লিন ইমেজার নেতা হয়ে গেলো! মান্নান বলেন, আমি নাকি মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছি! অথচ এই আওয়ামীলীগ নেতারাই আমাকে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল, তাদের সাথে আর্থিক লেনদেন করার প্রশ্নই আসেনা। পত্রিকায় আসে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সোনারগাঁ ইকোনোমিক জোনে সিন্ডিকেট করে হাজার কোটি টাকা কামানো ইঞ্জিয়ার মাসুমকে আসামি করার পর নাকি কয়েক কোটি টাকা নিয়ে বাদীকে দিয়ে মামলা থেকে নাম বাদ দিচ্ছি! হাসতে হাসতে মান্নান বলেন, মামলা একবার রুজু হয়ে গেলে কোন আইনে আছে যে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া যায়? এগুলো কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত অপ-প্রচার নয়?

এসব কারণে সোনারগাঁয়ে বিএনপি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম। মূলত মান্নানপন্থিরাই জড়িয়ে পড়েছে হামলা-মামলা ও বাড়িঘর লুটপাটে। এবিষয়ে মান্নান বলেন, সোনারগাঁ বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়নি, বিভক্ত হয়েছে রেজাউল করিম ও তার সাথে থাকা সংস্কার পন্থিরা। রেজাউল করিম ও তার সুবিধাবাদী দোসররা কোথায় ছিলো দলের অন্তিম সময়ে? আমরা কোন হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করিনি। যতটুকু হয়েছে সংস্কার পন্থিরা সোনারগাঁ বিএনপির নাম ক্ষুন্ন করার জন্য এসব ভাংচুর করেছে। অন্যথায় সোনারগাঁ বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলা থেকে যথেষ্ট ভালো আছে বলেও জানান মান্নান।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক রহিম মাস্টার বলেন, আজহারুল ইসলাম মান্নান এক সময় অধ্যাপক রেজাউল করিমের একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের দালালি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান তিনি। এরপরই বিশাল ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলেন। এবিষয়ে মান্নান বলেন, দলের আদর্শ বুকে নিয়ে কর্মী থেকেই মানুষ নেতা হয়। আমিও সেটাই হয়েছি। আমি কারো দালালী করিনি, একটি কোম্পানির সাথে ব্যবসা করে সেই টাকায় আজীবন রাজনীতি করেছি। আমার কোন সন্ত্রাস বাহিনী নেই বলেও জানান আজহারুল ইসলাম মান্নান।

পত্রিকায় এসেছে গত ৭ আগস্ট আমার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাবেরচর এলাকায় সাবেক মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগমের পরিবারের লোকজনকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে তার ভবনসহ জায়গা-জমি জবরদখল করে নিয়ে গেছি! কোথায় নিয়ে গেছি? তার ভবন সেখানেই আছে। এ ব্যপারে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নাকি অভিযোগ হয়েছে। বিগত ১৬ বছর আমার জমি ও বাড়ি দখল করে জোরপূর্বক মমতাজ মেম্বারনী ভবন তৈরি করে রেখেছে, আমি শুধু আমার অধিকারটুকু নিয়েছি। প্রশাসন আসুক, আমার ও তার কাগজপত্র দেখুক যায়গার প্রকৃত মালিক কে প্রমাণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ৫ আগস্ট মেঘনা টোল প্লাজা থেকে টোলের কয়েক কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আমার ছেলে জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের অনুসারিরা। এবিষয়ে মান্নান বলেন, মেঘনা টোল প্লাজায় এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। ৫ আগষ্টের পর বেশ কয়েকদিন টোল থেকে টাকাই উঠানো হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা টোল পাহাড়া দিয়েছে৷ আমাদের ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা তাদের সাথে সহযোগিতা করেছে। এবিষয়ে ফুটেজ আছে, পত্রিকায় নিউজও হয়েছে।

আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, আমার বাহিনী নাকি মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, একথাটা একদম সত্য! ১৬ বছর লুকিয়ে থাকা সংস্কার পন্থিদের জন্য আমি ও আমার বাহিনী ঠিকই মূর্তিমান আতঙ্ক। তিনি বলেন, আমার বাহিনী প্রতাবেরচর গ্রামের মিন্টু, ঝাউচর গ্রামের আল আমিনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমার ভয়ে প্রতাবেরচর, ঝাউচর ও আষাড়িয়ারচর গ্রামের বড় বড় ব্যবসায়ীরা নাকি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এ নিয়ে নাকি থানায় অভিযোগও হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নে শীলমান্দি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনাঘাটে অবস্থিত ৩টি ইকোনমিক জোনসহ ৩৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজকর্ম নাকি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি আমি ও আমার ভাইসহ আত্নীয়-স্বজনরা। মান্নান বলেন, দেশের যে পরিস্থিতি ছিলো, কে কোথায় হামলা ভাংচুর করেছে আমি জানিনা, অযথা আমার নেতাকর্মীদের দায়ী করে সংবাদ প্রচার হয়েছে। প্রথম থেকেই আমি বলে আসছি যারা হামলা ও ভাংচুর করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কারও করেছি। আমার লোকজন যদি ভাংচুর করতো তাহলে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের বাড়ি আমার বাড়ির পাশেই। যারা অপপ্রচার চালাতে চায় তারা এসে দেখে যান তার বাড়িটাও শির উচিয়ে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

মান্নান বলেন, আমার নেতৃত্বে প্রতিদিন শতাধিক লোক চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সচেতনামূলক প্রচার চালাচ্ছে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ফুটপাতের সব দোকান ও পরিবহণ থেকে কোন চাঁদা তোলা হয়না বলেও জানান মান্নান। পত্রিকায় লেখা হয়, সোনারগাঁয়ের ১০টি ইউপির অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আওয়ামীলীগ হওয়ায় তাদেরকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়। এবিষয়ে মান্নান বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি মামলার বাদী কিন্তু আমি নই। যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরাই মামলার বাদী হয়েছে। তিনি বলেন, ১৬ বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিলোনা, গুম, খুনতো আর বিএনপি করেনি, মামলাতো আওয়ামীলীগই খাবে নাকি? তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামীলীগের সাঙ্গপাঙ্গরাই বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলো, দেশের খারাপ পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এটা আমার আইন নয়, আমার অধিকারও নয়। জনগনের সেবা নিশ্চিত করার জন্যই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে  মেম্বারদের দায়িত্ব দিয়েছে কতৃপক্ষ।



আমাদের সোনারগাঁও: মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ ও অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন প্রধান।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকার নিজ বাড়িতে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। ভুক্তভোগী গোলজার জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একজন এগ্রো ব্যবসায়ী। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি কুচক্রীমহল স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম কর্মীদের ভূল,মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সোনারগাঁয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার’ শিরোনামে বিএনপি নেতা গোলজারকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এগ্রো ব্যবসায়ী গোলজার বলেন, আমি একজন নির্যাতিত ব্যবসায়ী, দীর্ঘ ১৭ বছর আমার উপর যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে তা সোনারগাঁয়ের ইতিহাসে বিরল। এখন ঐ কুচক্রীমহল স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমকর্মীদের ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে পূনরায় হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। আমি স্পষ্ট ভাবে দেশবাসীকে বলতে চাই, আমার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। আমি মূলত একজন এগ্রো ব্যবসায়ী। 

তিনি বলেন, উপজেলার মানুষ জানে আমি কেমন মানুষ। আমি সব সময় মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি। আমি কোনো সময় কারো সাথে কোনো অন্যায় কাজ করিনি, অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয়ও দেইনি। আমি সর্বদা সত্যের পথে। এতে আমার জীবন বাজি রাখতেও রাজি।

তিনি আরও বলেন, আমি একটি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া এলাকার মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গরীব দুখিদের সব সময় সহযোগিতা করি। আমার কোনো বাহিনী থাকার প্রশ্নই আসে না। আমি স্থানীয় সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই, আপনারা অনুগ্রহ করে সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবেন। আপনারা জাতীর বিবেক, তাই অনুগ্রহ করে বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন। আমি মিথ্যা সংবাদ ও অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী। তার মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি ও তার পরিবার-সতীর্থদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget